হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সুন্নাহ শরীফ-এ তথা হাদীছ শরীফ-এ বলেন, “যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বিরোধিতা করে, বিদ্বেষ পোষণ করে, গালিগালাজ করে তাদের সাথে তোমরা উঠা-বসা করো না, চলা-ফেরা করো না, খাওয়া-দাওয়া করো না, তাদের মেয়ে বিয়ে করো না, তাদের কাছে মেয়ে বিয়ে দিও না এবং তাদের সাথে দেখা হলে বলো- তোমাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।”
কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ যে চারটি মাসকে হারাম বা সম্মানিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম মাহে মুহররম মাসের আগমনী বার্তা বইছে। আর এখনই উত্তম সময় শপথ গ্রহণ করার যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যাদের সাথে দেখা হলে মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত বর্ষণের দোয়া করতে বলেছেন সেই চির লা’নতী ওহাবী-খারিজী, দেওবন্দী-তাবলীগী, জামাতী-মওদুদী, লা-মাযহাবীসহ তাবৎ ধর্মব্যবসায়ী, ওলামায়ে ‘ছূ’গংদের সাথে আমরা মু’মিন-মুসলমানরা উঠা-বসা করবো না, চলা-ফেরা করবো না, খাওয়া-দাওয়া করবো না, তাদের মেয়ে বিয়ে করবো না, তাদের কাছে মেয়ে বিয়ে দিবো না। বরং তাদেরকে সর্বক্ষেত্রে সর্ববিষয়ে সমাজের সর্বস্তরে শক্তভাবে বয়কট ও প্রতিহত করবো। কারণ তারা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত ছহাবায়ে আজমাঈন রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের শানে কুফরীমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে এই শপথের উপর ইস্তিক্বামত থাকার তাওফীক্ব ইনায়েত করুন। আমীন।
Chittagong Chattro Anjuman
সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১১
রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১০
নূরে আউয়াল, নূরে কায়িনাত, নূরে মুজাস্সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারকের ফযীলত।
আল্লাহ পাক-এর অনেক সুন্দরতম নাম মুবারক রয়েছে। সে সমস্ত নাম মুবারকের মাধ্যমে আল্লাহ পাককে ডাক।” (সূরা আরাফ-১৮০)
এ আয়াত শরীফের তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরও অনেক সুন্দর সুন্দর নাম মুবারক রয়েছে; সে সমস্ত নাম মুবারকের মাধ্যমে তোমরা উনাকে স্মরণ কর।”
মূলতঃ সমস্ত প্রশংসার মালিক মহান আল্লাহ পাক, যিনি তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সবকিছুই বিশেষভাবে তাৎপর্যমন্ডিত করেছেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারককেও তিনি করেছেন অনুপম বৈশিষ্ট্য মন্ডিত। যার হাক্বীক্বত উপলদ্ধি করা কেবল তাঁর আখাছছুল খাছ আশিকদের পক্ষেই সম্ভব।
স্মর্তব্য যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বরকতময় ও রহমতপূর্ণ নামসমূহ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ পাক এবং তা কেবল একটি দু’টি নয় বরং অগণিত ও অসংখ্য।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক ব্যক্ত হয়েছে কুরআন শরীফে, পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবে এবং উলামায়ে আরিফীনগণের কিতাবে।
কুরআন শরীফে বিবৃত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনেক নাম মুবারকের মাঝে- মুহম্মদ, আহমদ, ইয়াসীন, ত্বাহা, মুয্যাম্মিল, মুদ্দাছ্ছির, আব্দুল্লাহ, রহমাতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম বিশেষভাবে উল্লেখ্য।
এখানে স্মর্তব্য যে, হযরত গউছুল আ’যম, বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ আরো অনেক রাসিখুনা ফিল ইল্ম্ বা সাবিকুন (যাঁরা নিজেদের রূহানীয়তের সম্মৃদ্ধি হেতু স্বয়ং রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ ও হিকমত জেনে নিতে সক্ষম) তাঁদের মতে, কুরআন শরীফে উল্লেখিত হুরূফে মুকাত্তায়াতগুলোতে যেমন রয়েছে তাওহিদের গুঢ় তত্ত্ব, তদ্রুপ রয়েছে রিসালতের নিগুঢ় ইঙ্গিত এবং অন্যান্য বিষয়ের ইঙ্গিত। তার সাথে রয়েছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মর্যাদা-মর্তবার গুপ্ত রহস্যসহ নাম মুবারক-এর অন্তর্ভুক্তি।
মুলতঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারকের যাহির এবং বাতিন দু’টি দিক রয়েছে। উলামায়ে আরিফীনগণ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারকের যাহিরী ও বাতিনীগত দিকের অর্থ প্রকাশ করেছেন।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সকল নাম মুবারকের মাঝে ‘মুহম্মদ’ ও ‘আহমদ’ নাম মুবারক দু’টি বিশেষরূপে খাছ। এ নাম মুবারক দু’টিরও রয়েছে যাহিরী ও বাতিনী পরিচয়।
উল্লেখ্য, “মুহম্মদ” নামের মাঝে রয়েছে- দু’টি ‘মীম’। এর ব্যাখ্যা অনেক। যেমন একটি ‘মীম’ দ্বারা মুহিব্বিয়াত (মুহব্বতকারী)। অপর ‘মীম’ দ্বারা মাহবূবিয়াতের (যাকে মুহব্বত করা হয়) ইঙ্গিত প্রকাশ পায়।
এর প্রথম ‘মীম’ দ্বারা মালিক তায়ালা বা আল্লাহ পাক এবং দ্বিতীয় ‘মীম’ দ্বারা মাখলূক্বাত বা সৃষ্টি জগতের ইশারার প্রকাশ ঘটে।
আবার প্রথম মীম দ্বারা মুরীদ (ইচ্ছাকারী) এবং দ্বিতীয় মীম দ্বারা মুরাদ (যাকে ইচ্ছা করা হয়)-এর ইশারাও অনেকে ব্যক্ত করেছেন।
মূলকথা- এর দ্বারা বুঝা যায় যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টির মাঝে মাধ্যম স্বরূপ অথবা আল্লাহ পাক-এর সাথে মানুষ ও মাখলুক্বাতের সম্পর্ক তৈরি করনেওয়ালা এবং সৃষ্টিকর্তার তরফ হতে সৃষ্টির প্রতি প্রেরিত ও সৃষ্টির তরফ হতে সৃষ্টিকর্তার নিকট ওসীলা স্বরূপ।
উলামায়ে আরিফীনগণ উল্লেখ করেছেন, “যাহির হিসেবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম ‘মুহম্মদ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং বাতিন হিসেবে তাঁর নাম মুবারক ‘আহমদ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আর ‘মুহম্মদ’ নামের মত ‘আহমদ’ নামেরও অনেক গুপ্তভেদ রয়েছে। যেমন আল্লাহ পাক-এর এক নাম মুবারক ‘আহাদ’ আর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক ‘আহমদ’। ‘আহমদ’ নাম মুবারকে মধ্যস্থিত মীম দ্বারা মাখলুকের ইশারা প্রকাশ পায় অর্থাৎ মাখলুকের মধ্যে তিনি আহাদ বা একা, তাঁর কোন তুলনা নেই এবং মীম দ্বারা মাহবুবিয়াতের পূর্ণতার দিকেও ইশারা প্রকাশ পায়। এছাড়া এই মীম অক্ষর দ্বারা আল্লাহ পাক-এর দিকে ইশারা করা হয়। মূল কথা- আল্লাহ তায়ালার সাথে তিনি একা অর্থাৎ আল্লাহ তা’য়ালার সাথে তাঁর সম্পর্কই সর্বদা বিদ্যমান।
‘মুহম্মদ’ নাম মুবারকের অর্থ সর্বোত্তম প্রশংসিত আর ‘আহমদ’ নাম মুবারকের অর্থ সর্বোত্তম প্রশংসাকারী।
মূলতঃ এ উভয় মুবারক নামই আল্লাহ পাক-এর কাছে চরম, পরম পছন্দনীয়। যে কারণে এই নামে যাঁদের নামকরণ করা হয়েছে বা হবে তারাও আল্লাহ পাক-এর কাছ থেকে অশেষ রহমত, বরকত ও ফযীলত প্রাপ্ত হবেন। যেমন- এ প্রসঙ্গে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, প্রাণের আঁক্বা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক-এর দরবারে দু’ ব্যক্তিকে দন্ডায়মান করানো হবে, আর আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর হুকুম দিবেন। এতে বিস্মিত হয়ে উক্ত দু’ ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার কাছে আরয করবেন, হে বারে ইলাহী! কোন জিনিস আমাদেরকে জান্নাতের অধিকারী ও উপযোগী করলো? আপনার রহমত দ্বারা জান্নাতে যাবো, এ ধরনের আশা করা ছাড়া আমরা তো আর কোন নেক আমল করিনি। তাঁদের কথা শুনে রব্বুল ইজ্জত বলবেন, “যাও তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করো। কেননা আমি স্বয়ং জাতের কসম দ্বারা আমার উপর অবশ্য কর্তব্য করে দিয়েছিলাম যে, আমি ঐ ব্যক্তিকে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করাবনা, যার নাম হবে ‘আহমদ’ বা ‘মুহম্মদ’।” (হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)
হযরত জা’ফর ইবনে মুহম্মদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু রেওয়ায়েত করেছেন যে, ক্বিয়ামতের দিন, ইয়া মুহম্মদ বলে ডাকা হবে। তখন যে সমস্ত ব্যক্তির নাম মুহম্মদ ছিল, তারা সকলে মাথা উঠাবে। আল্লাহ পাক বলবেন, “তোমরা সাক্ষী থাক যে, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-এর নাম মুবারক-এর সাথে যাদের নাম মিল রয়েছে তাদের প্রত্যেককে আমি ক্ষমা করলাম।” (হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)
আর শুধু পরকালেই নয়, দুনিয়াতেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক-এর অনুকরণে নাম করণের ফযীলত বহুমুখী। নুজহাতুল মাজালিস ও তাফসীরে রুহুল বয়ানে উল্লেখ আছে যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান, “যদি কারো সন্তান হবার সম্ভাবনা থাকে এবং সে যদি নিয়ত করে যে, তার ছেলে হলে তার নাম মুহম্মদ রাখা হবে, তবে তার ছেলেই হবে। এমনি করে যার সন্তান বাঁচে না সে যদি নিয়ত করে যে, ছেলে বাঁচলে তার নাম মুহম্মদ রাখা হবে, তবে তার সন্তান বেঁচেই থাকবে।’ উল্লেখ্য এরকম আরো অনেক ফযীলতের কথা উল্লেখ রয়েছে।
মূলতঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুকরণে নাম রাখা দুনিয়ায় যেমন রহমত, বরকত ও ফযীলতের কারণ, আখিরাতেও তেমনি শাফায়াত, নাযাত ও বরকতের কারণ।
অতএব, অর্থহীন, খারাপ অর্থযুক্ত এবং বিধর্মী ব্যক্তিদের অনুকরণে সন্তানের নাম রাখা পরিত্যাগ করে আমাদের সকলেরই মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রিয় রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারকের অনুকরণে নাম রেখে ফযীলত ও বরকত হাছিলে প্রবৃত্ত হওয়া কর্তব্য।
এ আয়াত শরীফের তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরও অনেক সুন্দর সুন্দর নাম মুবারক রয়েছে; সে সমস্ত নাম মুবারকের মাধ্যমে তোমরা উনাকে স্মরণ কর।”
মূলতঃ সমস্ত প্রশংসার মালিক মহান আল্লাহ পাক, যিনি তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সবকিছুই বিশেষভাবে তাৎপর্যমন্ডিত করেছেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারককেও তিনি করেছেন অনুপম বৈশিষ্ট্য মন্ডিত। যার হাক্বীক্বত উপলদ্ধি করা কেবল তাঁর আখাছছুল খাছ আশিকদের পক্ষেই সম্ভব।
স্মর্তব্য যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বরকতময় ও রহমতপূর্ণ নামসমূহ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ পাক এবং তা কেবল একটি দু’টি নয় বরং অগণিত ও অসংখ্য।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক ব্যক্ত হয়েছে কুরআন শরীফে, পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবে এবং উলামায়ে আরিফীনগণের কিতাবে।
কুরআন শরীফে বিবৃত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনেক নাম মুবারকের মাঝে- মুহম্মদ, আহমদ, ইয়াসীন, ত্বাহা, মুয্যাম্মিল, মুদ্দাছ্ছির, আব্দুল্লাহ, রহমাতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম বিশেষভাবে উল্লেখ্য।
এখানে স্মর্তব্য যে, হযরত গউছুল আ’যম, বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ আরো অনেক রাসিখুনা ফিল ইল্ম্ বা সাবিকুন (যাঁরা নিজেদের রূহানীয়তের সম্মৃদ্ধি হেতু স্বয়ং রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ ও হিকমত জেনে নিতে সক্ষম) তাঁদের মতে, কুরআন শরীফে উল্লেখিত হুরূফে মুকাত্তায়াতগুলোতে যেমন রয়েছে তাওহিদের গুঢ় তত্ত্ব, তদ্রুপ রয়েছে রিসালতের নিগুঢ় ইঙ্গিত এবং অন্যান্য বিষয়ের ইঙ্গিত। তার সাথে রয়েছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মর্যাদা-মর্তবার গুপ্ত রহস্যসহ নাম মুবারক-এর অন্তর্ভুক্তি।
মুলতঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারকের যাহির এবং বাতিন দু’টি দিক রয়েছে। উলামায়ে আরিফীনগণ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারকের যাহিরী ও বাতিনীগত দিকের অর্থ প্রকাশ করেছেন।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সকল নাম মুবারকের মাঝে ‘মুহম্মদ’ ও ‘আহমদ’ নাম মুবারক দু’টি বিশেষরূপে খাছ। এ নাম মুবারক দু’টিরও রয়েছে যাহিরী ও বাতিনী পরিচয়।
উল্লেখ্য, “মুহম্মদ” নামের মাঝে রয়েছে- দু’টি ‘মীম’। এর ব্যাখ্যা অনেক। যেমন একটি ‘মীম’ দ্বারা মুহিব্বিয়াত (মুহব্বতকারী)। অপর ‘মীম’ দ্বারা মাহবূবিয়াতের (যাকে মুহব্বত করা হয়) ইঙ্গিত প্রকাশ পায়।
এর প্রথম ‘মীম’ দ্বারা মালিক তায়ালা বা আল্লাহ পাক এবং দ্বিতীয় ‘মীম’ দ্বারা মাখলূক্বাত বা সৃষ্টি জগতের ইশারার প্রকাশ ঘটে।
আবার প্রথম মীম দ্বারা মুরীদ (ইচ্ছাকারী) এবং দ্বিতীয় মীম দ্বারা মুরাদ (যাকে ইচ্ছা করা হয়)-এর ইশারাও অনেকে ব্যক্ত করেছেন।
মূলকথা- এর দ্বারা বুঝা যায় যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টির মাঝে মাধ্যম স্বরূপ অথবা আল্লাহ পাক-এর সাথে মানুষ ও মাখলুক্বাতের সম্পর্ক তৈরি করনেওয়ালা এবং সৃষ্টিকর্তার তরফ হতে সৃষ্টির প্রতি প্রেরিত ও সৃষ্টির তরফ হতে সৃষ্টিকর্তার নিকট ওসীলা স্বরূপ।
উলামায়ে আরিফীনগণ উল্লেখ করেছেন, “যাহির হিসেবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম ‘মুহম্মদ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং বাতিন হিসেবে তাঁর নাম মুবারক ‘আহমদ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আর ‘মুহম্মদ’ নামের মত ‘আহমদ’ নামেরও অনেক গুপ্তভেদ রয়েছে। যেমন আল্লাহ পাক-এর এক নাম মুবারক ‘আহাদ’ আর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক ‘আহমদ’। ‘আহমদ’ নাম মুবারকে মধ্যস্থিত মীম দ্বারা মাখলুকের ইশারা প্রকাশ পায় অর্থাৎ মাখলুকের মধ্যে তিনি আহাদ বা একা, তাঁর কোন তুলনা নেই এবং মীম দ্বারা মাহবুবিয়াতের পূর্ণতার দিকেও ইশারা প্রকাশ পায়। এছাড়া এই মীম অক্ষর দ্বারা আল্লাহ পাক-এর দিকে ইশারা করা হয়। মূল কথা- আল্লাহ তায়ালার সাথে তিনি একা অর্থাৎ আল্লাহ তা’য়ালার সাথে তাঁর সম্পর্কই সর্বদা বিদ্যমান।
‘মুহম্মদ’ নাম মুবারকের অর্থ সর্বোত্তম প্রশংসিত আর ‘আহমদ’ নাম মুবারকের অর্থ সর্বোত্তম প্রশংসাকারী।
মূলতঃ এ উভয় মুবারক নামই আল্লাহ পাক-এর কাছে চরম, পরম পছন্দনীয়। যে কারণে এই নামে যাঁদের নামকরণ করা হয়েছে বা হবে তারাও আল্লাহ পাক-এর কাছ থেকে অশেষ রহমত, বরকত ও ফযীলত প্রাপ্ত হবেন। যেমন- এ প্রসঙ্গে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, প্রাণের আঁক্বা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক-এর দরবারে দু’ ব্যক্তিকে দন্ডায়মান করানো হবে, আর আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর হুকুম দিবেন। এতে বিস্মিত হয়ে উক্ত দু’ ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার কাছে আরয করবেন, হে বারে ইলাহী! কোন জিনিস আমাদেরকে জান্নাতের অধিকারী ও উপযোগী করলো? আপনার রহমত দ্বারা জান্নাতে যাবো, এ ধরনের আশা করা ছাড়া আমরা তো আর কোন নেক আমল করিনি। তাঁদের কথা শুনে রব্বুল ইজ্জত বলবেন, “যাও তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করো। কেননা আমি স্বয়ং জাতের কসম দ্বারা আমার উপর অবশ্য কর্তব্য করে দিয়েছিলাম যে, আমি ঐ ব্যক্তিকে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করাবনা, যার নাম হবে ‘আহমদ’ বা ‘মুহম্মদ’।” (হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)
হযরত জা’ফর ইবনে মুহম্মদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু রেওয়ায়েত করেছেন যে, ক্বিয়ামতের দিন, ইয়া মুহম্মদ বলে ডাকা হবে। তখন যে সমস্ত ব্যক্তির নাম মুহম্মদ ছিল, তারা সকলে মাথা উঠাবে। আল্লাহ পাক বলবেন, “তোমরা সাক্ষী থাক যে, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-এর নাম মুবারক-এর সাথে যাদের নাম মিল রয়েছে তাদের প্রত্যেককে আমি ক্ষমা করলাম।” (হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)
আর শুধু পরকালেই নয়, দুনিয়াতেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক-এর অনুকরণে নাম করণের ফযীলত বহুমুখী। নুজহাতুল মাজালিস ও তাফসীরে রুহুল বয়ানে উল্লেখ আছে যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান, “যদি কারো সন্তান হবার সম্ভাবনা থাকে এবং সে যদি নিয়ত করে যে, তার ছেলে হলে তার নাম মুহম্মদ রাখা হবে, তবে তার ছেলেই হবে। এমনি করে যার সন্তান বাঁচে না সে যদি নিয়ত করে যে, ছেলে বাঁচলে তার নাম মুহম্মদ রাখা হবে, তবে তার সন্তান বেঁচেই থাকবে।’ উল্লেখ্য এরকম আরো অনেক ফযীলতের কথা উল্লেখ রয়েছে।
মূলতঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুকরণে নাম রাখা দুনিয়ায় যেমন রহমত, বরকত ও ফযীলতের কারণ, আখিরাতেও তেমনি শাফায়াত, নাযাত ও বরকতের কারণ।
অতএব, অর্থহীন, খারাপ অর্থযুক্ত এবং বিধর্মী ব্যক্তিদের অনুকরণে সন্তানের নাম রাখা পরিত্যাগ করে আমাদের সকলেরই মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রিয় রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারকের অনুকরণে নাম রেখে ফযীলত ও বরকত হাছিলে প্রবৃত্ত হওয়া কর্তব্য।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করার কারণেই ফেসবুক চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করার কারণেই ফেসবুক চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে। হ্যাঁ- ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, পরকীয়া, লিভ টুগেদার, পারিবারিক বন্ধন ভঙ্গ, আত্মহত্যার প্রবণতা, মাদকাসক্তি ইত্যাদি ঈমানী ও সামাজিক অবক্ষয়ের পেছনের প্ররোচনাকারী উৎস- ফেসবুকের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য। এক ফেসবুক বন্ধ মানেই ডিজিটাল কমিউনিকেশন বন্ধ নয়। বরং ফেসবুক যে অশ্লীলতার জন্যই এত প্রিয় সে কথা ওপেন সিক্রেট। এছাড়া ইসলাম বিদ্বেষীরাও ইসলাম অবমাননার সুযোগ নিচ্ছে সে কথাও কারো অজানা নয়। মাত্র ৯ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী সবাই ফেসবুকের সমর্থনকারী নয়; কথিত ৯ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর সমর্থনে সরকার ক্ষমতায় আসেনি- বরং ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ সমর্থন দিয়েছেন এজন্য যে, ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’। অতএব, এ বিষয়টি সরকারকে স্মরণ রাখতে হবে।
- মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী -
- Mujaddidu A'zam Hazrat Murshid Qibla Mudda Zilluhul 'Aalee -'Aalee -
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, রাষ্ট্র একটা বির্মূত ধারণা। বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করবেন। অথচ ইদানীং কথিত ফেসবুকের প্রভাবে বর্তমান সমাজে লিভ টুগেদার, ইভটিজিং, পরকীয়া, বিবাহ বিচ্ছেদ, মাদকাসক্তি, আত্মহত্যার প্রবণতা ইত্যাদি বেড়েই চলছে। যা সাংবিধানে বর্ণিত, আমাদের ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিকে ক্ষতবিক্ষত করছে। সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় স্বীকৃত রিপোর্ট মোতাবেকই অনেক পরিবারের জন্য ফেসবুক একটি যন্ত্রণা। স্বামী-স্ত্রী, মাতা-পিতা-সন্তান ইত্যাদি সম্পর্কগুলোতে এই ফেসবুকের কারণে ঢুকে যাচ্ছে অবিশ্বাস, ভাঙছে পারিবারিক বন্ধন, বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবীতেই একই অবস্থা। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ম্যাট্রিমনিয়ালস ল’ইয়ারস যুক্তরাষ্ট্রে সম্পৃত্তি এ নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে। এই অ্যাকাডেমির শতকরা ৮১ ভাগ সদস্য ৫ বছরের কেস স্টাডি করে দেখেছে যে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর কারণে ডিভোর্সের হার বেড়ে গেছে। কারণ, এসবে থেকে গেছে সম্পর্ক ভেঙে দেয়ার মতো অনেক প্রমাণ। তারা জানিয়েছে, ডিভোর্স বিষয়ে তারা সচেয়ে বেশি অভিযোগ পেয়েছে ফেসবুকের বিপক্ষেই। শতকরা ৬৬ জনই প্রাথমিক সোর্স হিসেবে ফেসবুকে ব্যবহার করা অশ্লীল বাক্য বিনিময়কেই সন্দেহ করছেন। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, একথা এখন সর্বজনবিদিত যে, ইন্টারনেটে ব্যবহারকারী অধিকাংশ তরুণ-তরুণী দিনের বেশিরভাব সময় খরচ করে ফেসবুকের অশ্লীল জগতে। ফেসবুক ব্যবহার যে সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, তা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের নীতিমালায় স্বীকার করেছে। ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবহারকারী ছবি আপলোডের মাধ্যমে ছবির স্বত্ব ফেসবুককে দিয়ে দিচ্ছে। ফেসবুক দাবি করে, তাদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রয়েছে। কিন' এমআইটি (ম্যাসাটুসেটিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) দুজন ছাত্র স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ৭০ হাজারেরও বেশি ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করে ফেলেছিলো। এ থেকে প্রমাণ হয়, ফেসবুকের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ফেসবুক বলতে গেলো পর্নো ক্রাইমের প্রসূতি। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিশাল অর্থও জালিয়াতি হয়। শেয়ারবাজার কারসাজির অভিযোগে গত ৩ মার্চ প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্রোকারেজ হাউসের এক কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়। তার কর্মকাণ্ডের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক বেছে নিয়েছিলো। ফেসবুকে সে একটি বিশেষ গ্রুপ তৈরি করে। গ্রুপে তিন হাজারের মতো সদস্য রয়েছে। সে এসব সদস্যকে কোন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে হবে, কোনটা বিক্রি করতে হবে, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছিলো। বিনিময়ে লাভের ২০ শতাংশ করে পেতো। আবার যখন সদস্যদের শেয়ার বিক্রি করতে বলতো, তখন এক দিনেই সব শেয়ার ছেড়ে দিত। এতে করে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়েছিলো। সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুক ব্যবহার করে এক কিশোরীকে প্রতারণা, অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে পিটার চ্যাপম্যান নামের ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গত ৮ মার্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ব্রিটিশ আদালত। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুক ব্যবহারকারী তার অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করলেই সেগুলো মুছে যায় না। ফেসবুক ওই ব্যবহারকারীর তথ্যগুলো রেখে দেয়। নতুন প্রাইভেসি সেটিংস কার্যকর করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল ও যাবতীয় তথ্য সবার সামনে উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিল, ব্যবহারকারীকে যা পরে নিজ হাতে পরিবর্তন করতে হয়েছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের পক্ষ থেকেও স্বীকার করা হয়েছে যে, স্বামী কিংবা স্ত্রীরা ফেসবুকের মাধ্যমে পরনারী কিংবা পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে উৎসাহিত হয়। এগুলো স্পষ্টভাবেই ইসলামী আইনবিরোধী। তাই মুসলিমদের ফেসবুক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুক শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা তৈরি করে এবং এটি ব্রাউজ করা এক ধরনের নেশায় পরিণত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ফেসবুক প্রাপ্তবয়স্কদের মেধাকে দুর্বল করে দেয়। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায় ৮ লাখ ৭৬ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে প্রায় ছয় লাখ ৪২ হাজার ৯২০ জন পুরুষ ও দুই লাখ ২২ হাজার ৪৪০ জন নারী ব্যবহারকারী। অর্থাৎ দেশের ১৪ কোটি মুসলমানের মধ্যে ১%-এর কম যে ৮ লক্ষ লোক ফেসবুক বন্ধের বিরোধিতা করেছে তাদেরও ১% এর কম লোকও এ বিরোধিতা বন্ধে তীব্র কোন আন্দোলন করেনি। কিন' মিডিয়া তথা কিছু প্রগতিবাদী এটাকেই ফুলিয়ে-ফাপিয়ে প্রচার করছে। ভাবখানা এই যে, ফেসবুক বন্ধ করে সরকার এখনই গদি হারাচ্ছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মিডিয়া সরকারকে সব সময়ই আরেকটি ভুল তথ্য দিয়ে আসছে যে, দেশের কথিত নতুন প্রজন্মই এ সরকারকে এনেছে। কিন' হিসাবে নতুন প্রজন্মের তুলনায় বিগত প্রজন্মের সংখ্যা অনেক বেশি। আর তারা কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না, এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেই প্রীত হয়ে তাদের ভোটদানের ধারা বদল করেছে। এটাই প্রকৃত সত্য। এটা দিন বদলের সরকারকে বুঝতে হবে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধিদলীয় মন্ত্রীর বিকৃত ছবি প্রকাশের সুযোগ থাকার কারণে ফেসবুক বন্ধ করা হতে পারে; তবে সবারই জানা আছে যে, ‘এভরিবডি ড্র মোহাম্মদ ডে’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০ মে তারিখের মধ্যে নূরে মুজাসাসম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছবি পোস্ট দিতে বলা হয়েছিলো। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, জ্বলন্ত প্রশ্ন দাঁড়ায় যে, এ ধরনের কুকর্ম যে ফেসবুক করেছে এবং এখনও তাতে করার সুযোগ রয়েছে; সে ফেসবুক অবশ্যই চিরতরে বন্ধ রাখতে হবে। এবং সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার স্বার্থই তা আবশ্যকীয় ভাবে করতে হবে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলাম কমিনী-নিজামীদের মত রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের কাছে ইজারা দেয়া নয়। ইসলাম এদেশের ১৪ কোটি মুসলমানদের ধর্ম, ১৪ কোটি মুসলমানদের ঈমান। কাজেই জামাতী-কমিনীরাই চাইলে বা বললেই ইসলাম তাদের হয়ে গেলো না। তাদের ধর্মব্যবসায়িক আবেদনের প্রেক্ষিতে নয়; বরং ১৪ কোটি মুসলমানের ঈমান, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সর্বোপরি সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই ফেসবুক বন্ধ রাখতে হবে। একবার বন্ধ করে পুনরায় তা আবার চালু করলে ষড়যন্ত্রকারীরা আরো সুযোগ পাবে এবং আরো বেপরোয়া হবে। সেক্ষেত্রে তার ভার সরকারকেই নিতে হবে।
- মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী -
- Mujaddidu A'zam Hazrat Murshid Qibla Mudda Zilluhul 'Aalee -'Aalee -
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, রাষ্ট্র একটা বির্মূত ধারণা। বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করবেন। অথচ ইদানীং কথিত ফেসবুকের প্রভাবে বর্তমান সমাজে লিভ টুগেদার, ইভটিজিং, পরকীয়া, বিবাহ বিচ্ছেদ, মাদকাসক্তি, আত্মহত্যার প্রবণতা ইত্যাদি বেড়েই চলছে। যা সাংবিধানে বর্ণিত, আমাদের ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিকে ক্ষতবিক্ষত করছে। সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় স্বীকৃত রিপোর্ট মোতাবেকই অনেক পরিবারের জন্য ফেসবুক একটি যন্ত্রণা। স্বামী-স্ত্রী, মাতা-পিতা-সন্তান ইত্যাদি সম্পর্কগুলোতে এই ফেসবুকের কারণে ঢুকে যাচ্ছে অবিশ্বাস, ভাঙছে পারিবারিক বন্ধন, বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবীতেই একই অবস্থা। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ম্যাট্রিমনিয়ালস ল’ইয়ারস যুক্তরাষ্ট্রে সম্পৃত্তি এ নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে। এই অ্যাকাডেমির শতকরা ৮১ ভাগ সদস্য ৫ বছরের কেস স্টাডি করে দেখেছে যে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর কারণে ডিভোর্সের হার বেড়ে গেছে। কারণ, এসবে থেকে গেছে সম্পর্ক ভেঙে দেয়ার মতো অনেক প্রমাণ। তারা জানিয়েছে, ডিভোর্স বিষয়ে তারা সচেয়ে বেশি অভিযোগ পেয়েছে ফেসবুকের বিপক্ষেই। শতকরা ৬৬ জনই প্রাথমিক সোর্স হিসেবে ফেসবুকে ব্যবহার করা অশ্লীল বাক্য বিনিময়কেই সন্দেহ করছেন। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, একথা এখন সর্বজনবিদিত যে, ইন্টারনেটে ব্যবহারকারী অধিকাংশ তরুণ-তরুণী দিনের বেশিরভাব সময় খরচ করে ফেসবুকের অশ্লীল জগতে। ফেসবুক ব্যবহার যে সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, তা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের নীতিমালায় স্বীকার করেছে। ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবহারকারী ছবি আপলোডের মাধ্যমে ছবির স্বত্ব ফেসবুককে দিয়ে দিচ্ছে। ফেসবুক দাবি করে, তাদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রয়েছে। কিন' এমআইটি (ম্যাসাটুসেটিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) দুজন ছাত্র স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ৭০ হাজারেরও বেশি ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করে ফেলেছিলো। এ থেকে প্রমাণ হয়, ফেসবুকের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ফেসবুক বলতে গেলো পর্নো ক্রাইমের প্রসূতি। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিশাল অর্থও জালিয়াতি হয়। শেয়ারবাজার কারসাজির অভিযোগে গত ৩ মার্চ প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্রোকারেজ হাউসের এক কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়। তার কর্মকাণ্ডের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক বেছে নিয়েছিলো। ফেসবুকে সে একটি বিশেষ গ্রুপ তৈরি করে। গ্রুপে তিন হাজারের মতো সদস্য রয়েছে। সে এসব সদস্যকে কোন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে হবে, কোনটা বিক্রি করতে হবে, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছিলো। বিনিময়ে লাভের ২০ শতাংশ করে পেতো। আবার যখন সদস্যদের শেয়ার বিক্রি করতে বলতো, তখন এক দিনেই সব শেয়ার ছেড়ে দিত। এতে করে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়েছিলো। সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুক ব্যবহার করে এক কিশোরীকে প্রতারণা, অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে পিটার চ্যাপম্যান নামের ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গত ৮ মার্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ব্রিটিশ আদালত। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুক ব্যবহারকারী তার অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করলেই সেগুলো মুছে যায় না। ফেসবুক ওই ব্যবহারকারীর তথ্যগুলো রেখে দেয়। নতুন প্রাইভেসি সেটিংস কার্যকর করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল ও যাবতীয় তথ্য সবার সামনে উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিল, ব্যবহারকারীকে যা পরে নিজ হাতে পরিবর্তন করতে হয়েছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের পক্ষ থেকেও স্বীকার করা হয়েছে যে, স্বামী কিংবা স্ত্রীরা ফেসবুকের মাধ্যমে পরনারী কিংবা পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে উৎসাহিত হয়। এগুলো স্পষ্টভাবেই ইসলামী আইনবিরোধী। তাই মুসলিমদের ফেসবুক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুক শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা তৈরি করে এবং এটি ব্রাউজ করা এক ধরনের নেশায় পরিণত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ফেসবুক প্রাপ্তবয়স্কদের মেধাকে দুর্বল করে দেয়। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায় ৮ লাখ ৭৬ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে প্রায় ছয় লাখ ৪২ হাজার ৯২০ জন পুরুষ ও দুই লাখ ২২ হাজার ৪৪০ জন নারী ব্যবহারকারী। অর্থাৎ দেশের ১৪ কোটি মুসলমানের মধ্যে ১%-এর কম যে ৮ লক্ষ লোক ফেসবুক বন্ধের বিরোধিতা করেছে তাদেরও ১% এর কম লোকও এ বিরোধিতা বন্ধে তীব্র কোন আন্দোলন করেনি। কিন' মিডিয়া তথা কিছু প্রগতিবাদী এটাকেই ফুলিয়ে-ফাপিয়ে প্রচার করছে। ভাবখানা এই যে, ফেসবুক বন্ধ করে সরকার এখনই গদি হারাচ্ছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মিডিয়া সরকারকে সব সময়ই আরেকটি ভুল তথ্য দিয়ে আসছে যে, দেশের কথিত নতুন প্রজন্মই এ সরকারকে এনেছে। কিন' হিসাবে নতুন প্রজন্মের তুলনায় বিগত প্রজন্মের সংখ্যা অনেক বেশি। আর তারা কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না, এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেই প্রীত হয়ে তাদের ভোটদানের ধারা বদল করেছে। এটাই প্রকৃত সত্য। এটা দিন বদলের সরকারকে বুঝতে হবে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধিদলীয় মন্ত্রীর বিকৃত ছবি প্রকাশের সুযোগ থাকার কারণে ফেসবুক বন্ধ করা হতে পারে; তবে সবারই জানা আছে যে, ‘এভরিবডি ড্র মোহাম্মদ ডে’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০ মে তারিখের মধ্যে নূরে মুজাসাসম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছবি পোস্ট দিতে বলা হয়েছিলো। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, জ্বলন্ত প্রশ্ন দাঁড়ায় যে, এ ধরনের কুকর্ম যে ফেসবুক করেছে এবং এখনও তাতে করার সুযোগ রয়েছে; সে ফেসবুক অবশ্যই চিরতরে বন্ধ রাখতে হবে। এবং সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার স্বার্থই তা আবশ্যকীয় ভাবে করতে হবে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলাম কমিনী-নিজামীদের মত রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের কাছে ইজারা দেয়া নয়। ইসলাম এদেশের ১৪ কোটি মুসলমানদের ধর্ম, ১৪ কোটি মুসলমানদের ঈমান। কাজেই জামাতী-কমিনীরাই চাইলে বা বললেই ইসলাম তাদের হয়ে গেলো না। তাদের ধর্মব্যবসায়িক আবেদনের প্রেক্ষিতে নয়; বরং ১৪ কোটি মুসলমানের ঈমান, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সর্বোপরি সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই ফেসবুক বন্ধ রাখতে হবে। একবার বন্ধ করে পুনরায় তা আবার চালু করলে ষড়যন্ত্রকারীরা আরো সুযোগ পাবে এবং আরো বেপরোয়া হবে। সেক্ষেত্রে তার ভার সরকারকেই নিতে হবে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)